নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড ও উন্নতির পূর্বশর্ত। মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে মেরুদন্ডের অপরিহার্যতা অপরিসীম। মেরুদন্ড ছাড়া মানুষ যেমন চলাচল করতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া একটি জাতি উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে পারে না। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। একটি দেশের ভিত্তি, একটি দেশের প্রাণ, আগামীর প্রজন্ম। এই শিশুদের মধ্য থেকেই ভবিষ্যতে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীর প্রতিভা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন অভিভাবকেরা। লেখাপড়ার চাপ না থাকায় স্মার্টফোন নিয়ে গেইমস নামক নেশার জগতে আসক্ত হচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা। তাই অভিভাবকদের মাঝে হতাশা কাজ করছে। করোনা ঢেউয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ ফলে আতঙ্কিত সকল শ্রেণীর মানুষ। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজেরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু মধ্যবিত্তদের দ¦ারা তা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা দিনদিন টিকটক ভিডিও, ফ্রি ফায়ার এবং পাবজি গেইমসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। যেসময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখা নিয়ে চর্চার মধ্যে, সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন গেমস নিয়ে ব্যস্ত। স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা অনলাইনে ক্লাস করার জন্য সন্তানদেরকে স্মার্টফোন কিনে দিচ্ছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা গেইমসে আসক্ত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ও খেলাধুলার মাঠ ছেড়ে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মকান্ডে তারা সময় পার করছে। সারাদিন এমনকি রাত জেগে ইন্টারনেটে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো নেশা ধরা গেইমস খেলছে। মুন্সীগঞ্জের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিগার সুলতনা, ফারুক, জুলেখা, মামুন বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে আধুনিক স্মার্টফোনে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেইমসের নেশায় পড়ছে। এতে করে লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়েছে তারা। প্রাথমিক থেকে শুরু করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ খেলায় আসক্ত হচ্ছেন। বাঁধা দিলেও তা কাজে আসছে না। এতে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা আরও বলেন, সরকার যদি এ ধরনের গেইম আমাদের দেশে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এ ধরণের গেইম থেকে রেহাই পাবে। সাথে সাথে পড়ায় মনোযোগী হবে এবং দেশ উন্নতির দিকে পৌঁছাবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মুন্সীগঞ্জের শিক্ষার্থীরা টিকটক আর গেইমসে আসক্ত
আগের পোস্ট