নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করে ১৫ তম দিনেও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শত শত লোক ঢাকায় ফিরতে ফেরি পার হয়েছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে এসব যাত্রীরা ফিরছে কর্মস্থলে। গতকাল সোমবার ১৫তম দিনেও শত শত ঢাকামুখী নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুট দিয়ে কর্মস্থল ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে ফিরেছে।
সকালে সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরিতে করে আসছে লোক আর লোক। ফেরিগুলোতে গুটি কয়েক গাড়ির সাথে শত শত লোক আসছে শিমুলিয়া ঘাটে। এখানে এসে ফেরি থেকে নামতে এক অপরের শরীরের ওপর দিতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় লেগে যাচ্ছে যাত্রী সাধারণ। তাদের মধ্যে করোনার তেমন কোনো ভয় দেখা যায়নি। ফেরি থেকে নেমেই কার আগে কে যানবাহনে উঠবে এ নিয়ে ছুটাছুটি করেছে লোকজন। বাস না থাকায় প্রতিদিনকার মতো অটো, সিএনজি, টেম্পো, ইয়েলো ক্যাব, নসিমন, করিমন, উবারের অফলাইনের মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে তারা গন্তব্যে ফিরছে। এতে তাদেরতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ-পরিদর্শক) মোঃ সিরাজুল কবির জানান, কোথা থেকে প্রতিদিন শত শত লোক আসছে তা বোধগম্য নয়। সবই ঢাকামুখী যাত্রী। সরকার গার্মেন্টসের পর মার্কেট খুলে দেবার ঘোষণা দিলে নানা শ্রেণি-পেশার শত শত লোক গত কয়েকদিন যাবৎ ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে ছুটছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে এরা শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। কারো শরীরে করোনা থাকলে তা সংক্রামিত হবার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বললেও এখানে তা পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মোঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই শত শত ঢাকামুখী যাত্রী পার হয়েছে ফেরিতে করে।