নিজস্ব প্রতিবেদক
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে মানুষের ঢল অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন ঢাকামুখীসহ দক্ষিণবঙ্গমুখী মানুষের চলাচলও শুরু হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি ছোট ছোট যানবাহনের চলাচলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় ঘাটেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শতাধিক যানবাহন এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশী। তবে এই নৌরুটে লঞ্চ ও সীবোট চলাচল যথারীতি বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা স্বাভাবিকভাবেই চলছে ফেরি। তবে যানবাহনের সাথে পার হচ্ছে মানুষ। ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গমুখী অসংখ্য মানুষ ছুটছে নিজ গন্তব্যে। গত কয়েকদিন ফেরিতে শত শত মানুষ গাদাগাদি করে পার হয়েছে এখন সেরকম পরিস্থিতি না থাকলেও মানুষের চলাচল কমেনি। কারণ পূর্বে ফেরির সংখ্যা কম থাকায় যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরি পার হয়েছে। আর এখন ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করায় যাত্রীদের এখন আর গাদাগাদি করে পার না হতে হলেও শারীরিক দূরত্ব কমেনি।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে যাত্রীরা ফেরিতে করে শিমুলিয়া ঘাটে এসে হুমড়ি খেয়ে ছুটছে যানবাহন ধরতে। সেখানে বাস না পেয়ে তারা লেগুনা, অটোরিক্সা, পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস ও অফলাইনে চলা উবারের শত শত মোটর সাইকেল ও গাড়ীসহ নানা ধরনের পরিবহনে গাদাগাদি করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছে আর এজন্যে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে এসকল যাত্রীসাধারণ চলাচল করছে। কেউ কেউ নিজস্ব গাড়ী নিয়ে ছুটছে নিজ নিজ গন্তব্যে। কেউ ছুটছে ঢাকার উদ্দেশ্যে আবার কেউবা দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশ্যে। এতে উভয়ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে আছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, অসংখ্য যাত্রী চলাচল করছে। তবে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীরা এখন আর গাদাগাদি করে চলছেনা। আগে শুধু ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল থাকলেও এখন উভয়দিকেই যাত্রীরা ছুটছে। করোনার ভয় তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়নি। শুধু যানবাহনের দিকে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে। কে কার আগে যানবাহনে উঠবে এ নিয়ে ব্যস্ততা ছিল তাদের মধ্যে। ঘাট এলাকায় বাস না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ছোট যানবাহন দিয়ে রাজধানীর দিকে ছুটছে মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সবকটি ফেরিই এখন চলাচল করছে। দিনের বেলায় ছোট ছোট গাড়ীর চাপ থাকায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। যানবাহনের সাথে প্রচুর যাত্রীও পার হচ্ছে উভয় দিকে। যাত্রীদের সচেতন করতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।