নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ভাগ্যকুল বাজার পদ্মা নদীর পাড়ে পাকা ঘাটলা যেন ময়লা আবর্জনার স্তূপের পাহাড়। ভাগ্যকুল বাজারের খালের পাড়ের ঘাটের দু’পাশে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে পলিথিনসহ ময়লা- আবর্জনা। দিনের পর দিন স্তুপ হয়ে থাকা ময়লায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাতে করে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী পাকা ঘাটলার সুফল। নোংরা পরিবেশে নষ্ট হচ্ছে সুন্দর পরিবেশ। শ্রীনগর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হল ঐতিহ্যবাহী ভাগ্যকুল বাজার। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোকের আনাগোনা। দূর-দূরান্ত থেকে নানা পেশার মানুষ আসা যাওয়া করেন। বিশেষ করে সরকারী ছুটির দিনে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের লোক ঘুরতে আসেন এই ভাগ্যকুল বাজারে। কারণ ভাগ্যকুল ঘোলের জন্য বিখ্যাত। এক গ্লাস ঘোলের জন্য ছুটে চলে আসেন এই বাজারে তারপর আবার এই ঘাটলার এখান থেকে দেখা যায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, সভ্যতার এই যুগে আমরা সভ্যতার পোশাক ঠিকই পরিধান করি কিন্তু ঘাটলার অবস্থা দেখলে মনে হয় না যে আমরা সভ্যতার যুগে আছি। বাজারের দক্ষিণে পদ্মা নদীর চরে রয়েছে দুইটি রেস্টুরেন্ট। নৌকা দিয়ে পার হয়ে ঘুরতে যায় এবং বিকেলবেলা ঘুরতে আসে কোমলমতি কচিকাঁচা ছাত্র-ছাত্রীরা। উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে জামে মসজিদ। শুধু তাই নয়, পথচারীদের মুখে হরহামেশাই রুমাল ব্যবহার করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, শুধু ময়লা-আবর্জনা পলিথিন ফেলেই ক্ষান্ত হন না, রাতের বেলায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন অনেকেই। বর্ষাকালে খালের পানি টইটুম্বুর হওয়ায় পানির সাথে ময়লা-আবর্জনা দূরে ভেসে যায়। কিন্তু শীতকালীন সময়ে খালে পানি না থাকায় ঘাটলার দু’পাশ ময়লার স্তূপে পরিণত হয়। সে ময়লার দুর্গন্ধ বাতাসের সাথে চারপাশে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে আশেপাশে বসবাসরত মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ চরম ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সাথে যোগাযোগ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।