নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারী থেকে শ্রীনগর উপজেলাবাসীকে সচেতন ও সার্বিক সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের নির্দেশনায় জনসাধারনকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে খুব একটা রক্ষা সামগ্রী ছাড়াই রক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে শ্রীনগর উপজেলাবাসীর প্রাণ ভ্রমরা নারী কর্মকর্তা ইউএনও মোসাৎ রহিমা আক্তার। তিনি এই উপজেলায় যোগদান করেই নিজের মাতৃভূমি এ উপজেলার মানুষকে খুব আপন করে নিয়েছেন। মহামারী আকার ধারন করা ভাইরাস সর্ম্পকে সচেতন ও সতর্ক করতে বড় আয়তনের শ্রীনগর উপজেলার মানুষকে বারবার ঘরে থাকার অনুরোধ করেন এবং বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর রহমতে আমরা আপনাদের পাশেই আছি। উপজেলার জনগণকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এই নারী কর্মকর্মা রহিমা আক্তার। উপজেলাবাসীর জন্য এ যেন এক আর্শিবাদ। তিনি নিশ্চয়ই কোন রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান। তিনি নিজে ভাল করেই জানেন এ ভাইরাসে নিজে আক্রান্ত হতে পারেন তবুুুুও জীবন বিপন্ন করে সরকারী নির্দেশনা ও বিবেক থেকে এ মানুষগুলোকে নিরাপদে রাখার জন্য উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলছেন বিরতিহীনভাবে। ত্রাণ তদারকি থেকে শুরু করে আড়িয়ল বিলের কৃষকদের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য শ্রমিক সংকট নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই নির্বাহী অফিসার রহিমা আক্তার। তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, এ করোনা ভাইরাসে যদি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আক্রান্ত হন তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে হিমশিম খেতে হবে। এজন্যই তিনি নিজেকে এক মুহুর্তের জন্য দমিয়ে রাখতে পারছেন না। অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বিপন্ন জাতিকে সচেতন ও সতর্ক করতে নানা দিক দিয়ে চেষ্টা করছে এই মমতাময়ী প্রাণ ভ্রমরা নারী রহিমা আক্তার। এই মরনব্যাধি ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লকডাউনে থাকা গৃহবন্দী অভুক্ত অসহায় পরিবারের বাড়ীতে বাড়ীতে নিজে গিয়ে মানবিক সহায়তার খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অসহায় মানুষের নানার খোঁজ খবর নিয়ে সে বিষয়েও সমাধান করে যাচ্ছেন এই মানবিক নারী কর্মকর্তা। অপরাধ দমনে কঠোর হলেও মানুষ হিসেবে তিনি অসহায় মানুষের বিশ্বস্ত আশ্রয়স্থল। তিনি এখানে যোগদান করার পর হতে মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে। লোক লজ্জার ভয়ে অনেক পরিবার অভুক্ত থেকে ফোনে তার সাহায্য কামনা করলে তিনি তাৎক্ষণিক ঐ অসহায় পরিবারটির বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে একটুও দেরি করেননি। তাই উপজেলাবাসী এই নারী কর্মকর্তাকে তাদের প্রাণ ভ্রমরা হিসেবেই জানেন। কোথায় কোন সাহায্য না পেলে অসহায় নিরীহ মানুষ জানেন তাদের এই মমতাময়ী প্রাণ ভ্রমরার কাছে গেলে অবশ্যই সাহায্য পাবে। তাই কেউ তার কাছে আসতে একটুও দেরি করেন না। এত পরিশ্রম করার পরেও এই নারী কর্মকর্তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লকডাউন করা বাজার ঘাট বন্ধ করছে কি না খোঁজ নিচ্ছেন সার্বক্ষণিক। তাছাড়া লকডাউনে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করতে বারবার হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন সর্তকতামূলক নির্দেশনা দিয়েই যাচ্ছেন অনবরত। তিনি সব সময় মানুষের জন্য একটু কিছু করতে পারলে আত্মতৃপ্তি পান। তাই মানুুষের সেবা করে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান এই মহিয়সী নারী রহিমা আক্তার। তিনি আরো বলেন, মানবতার পাশে সকলের দাঁড়ানো কর্তব্য এবং প্রত্যেকেই যদি স্ব-স্ব অবস্থান থেকে মানবতার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে এ বিশ্ব হতো ভালবাসায় পরিপূর্ণ একটি বিশ্ব। থাকতো না জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ। সবাইকে মানবতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে ভবিষ্যতে সবসময় মানবতার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা। তিনি উপজেলাবাসীকে বলেন, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন, আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদে নিশ্চিন্তে থাকুন। সুস্থ থাকুন। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন আছে আপনাদের পাশে সার্বক্ষণিক।