নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় এক প্রবাসীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত প্রবাসী মোঃ দুলাল শেখকে (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে দুলাল শেখ বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরো ০৮/১০ জনকে আসামী করে সি,আর মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানা অফিসার ইনচার্জকে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ১৯ জুলাই রবিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে উপজেলার ভাটিম ভোগ বাজারে সামসুর চায়ের দোকানের সামনে। দুলাল শেখ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযাগে করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করেন তিনি। যার নং ৮০/২০২০। ২৬ জুলাই একটি স্মারকে থানা ইনচার্জকে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা যাচাইয়ে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. দুলাল শেখ জানান, ঘটনার দিন সকাল ১১টায় চায়ের দোকানে এক অটোচালক এসে বলে অটোতে অনৈতিক কাজ করছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। আমরা ২/৩ জন গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় পাই এবং তাদের শাসন করে ছেড়ে দেই। অনৈতিক কাজের ঐ ছেলে ফোন করে ভাটিমভোগ গ্রামের মতি শেখের ছেলে হৃদয়কে। বিকাল ৩টার দিকে হৃদয়সহ (১৮) ৮/১০জন লাঠি-সোটা নিয়ে আমার উপর হামলা করে। পরপর মতি শেখ, রুহুল শেখ, কালাম হাওলাদার ও মনির হাওলাদার লোহার রড, ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে। আমি লুটিয়ে পড়লে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন হৃদয় ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। সুস্থ হয়ে মামলা করি। অন্যায় নোংরামীর প্রতিবাদ করলে কি এমন মারধরের স্বীকার হতে হবে? মামলার ৩নং সাক্ষী চা দোকানদার সামসু মোল্লা জানান, আমার দোকানের সামনে দুলালকে মারধর করেছে। আমার দোকানের মালামাল ভাঙচুর করেছে। ১৫/২০ জন ছিল তাদের হাতে হকিস্টিক ও লাঠি ছিল, তাদেরকে আমি চিনি না। এ ঘটনায় প্রধান আসামী হৃদয় শেখের (১৮) বাবা মামলার ২নং আসামী মতি শেখ জানান, দুলাল শেখ যে ছেলেমেয়েকে অপমান করেছে, তাদের বাড়ি কাঁঠালতলী ও জৈনসার গ্রামে। তারা দুলাল শেখকে মারধর করেছে। আমার ছেলের পরিচিত, তারা আমার ছেলে এবং দুলালের দুই ভাতিজা সাগর ও নিশাতকেও ফোন দিয়ে এনেছে। আমার ছেলে কিছু জানে না। আমার ছেলের নামে মামলা হলো অথচ তার দুই ভাতিজার নাম নেই। দুলালের সাথে আমাদের পূর্ব কোন শত্রুতা নেই। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, এমন তথ্য আমার জানা নেই। যদি থানায় আসতো তাহলে আমার নলেজে থাকতো। যদি সি,আর মামলা হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।