নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে যৌতুকের জন্য নাজনীন আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূকে গত ৬ জুলাই বুধবার রাতে তার স্বামী হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়াা গেছে। ওই রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করা হয়েছে। আহত গৃহবধূ নাজনীন আক্তার জানান, মাত্র সাতমাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। রবিন সিরাজদিখান সোনালী ব্যাংক শাখা হতে বদলি হয়ে সিলেটের টিকরপাড়া সোনালী ব্যাংক শাখায় যোগদান করেছে। কয়েকদিন ধরে তার স্বামী মোঃ সোলায়মান হোসেন রবিন (৩১) তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। টাকা আনতে অস্বীকার করায় রবিন তাকে পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে নাজনীন আক্তারের বাবা মোঃ আব্দুল কাদীর প্রধান বলেন, তাদের বাড়ি ঢাকা কাফরুল থানার শেওড়াপাড়া। তাদের দ্বিতীয় সন্তান নাজনীন আক্তার। নাজনীনের স্বামী মোঃ সোলায়মান হোসেন রবিনের (৩১) বাসা ঢাকা খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান। গত ৭ জুলাই নাজনীন আক্তারের সঙ্গে মোঃ সোলায়মান হোসেন রবিনের বিয়ে হয়। মোঃ সোলায়মান হোসেন রবিন সিরাজদিখান সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত অবস্থায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের কাছে আরো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো রবিন। আমার মেয়ের শরীরে সেই নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। গত ৬ জুলাই আমার মেয়েকে টাকার জন্য বললে আমার মেয়ে নাজনীন টাকা তাকে দিতে অস্বীকার করলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার মেয়েকে হত্যা করার জন্য রবিন আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমার মেয়ে আমাকে ওই রক্তাক্ত অবস্থায় ফোন করলেই ওই রাতে আমরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি এবং রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে মোঃ সোলায়মান হোসেন রবিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করিনাই। সে আমাকে বলে আমি ফিজিক্যাল আনফিট তাই আমাকে সে বিভিন্ন কবিরাজী ঔষধ এনে খেতে দেয়। আমি ওইসব খেতে না চাইলে এই নিয়ে ঝগড়া শুরু করলে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, আহত নাজনীন আক্তার গতকাল রোববার বিকালে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।