নিজস্ব প্রতিবেদক
মহা শিব চতুর্দশী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তদের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের ঐতিহাসিক ফেগুনাসার শিব মন্দির প্রাঙ্গণ। গতকাল রবিবার সকাল থেকে জেলার ছয় উপজেলা ছাড়াও পাশের জেলা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও কুমিল্লা থেকে কয়েক হাজার ভক্ত নারী-পুরুষ অংশ নেন ধর্মসভায়। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি প্রার্থনায় দিনভর চলে পূজা-অর্চনা আর শিবলিঙ্গ দুগ্ধস্নান। প্রাচীন বিক্রমপুরের সেন বংশীয় শাসনামলের (১১৫৯-১১৮৫ খ্রিঃ) প্রভাবশালী মহারাজা বল্লাল সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক শিব মন্দিরে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শিবলিঙ্গ বিগ্রহ থাকায় প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহা শিবরাত্রি ব্রত অনুষ্ঠানের এই দিনে মালখানগর ফেগুনাসার শিব মন্দির ভক্তের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। মালখানগর ফেগুনাসার শিব মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল রায় জানান, প্রাচীন বিক্রমপুরের সেন বংশীয় শাসনামলের (১১৫৯-১১৮৫ খ্রিঃ) প্রভাবশালী মহারাজা বল্লাল সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহাসিক শিব মন্দিরে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শিবলিঙ্গ বিগ্রহ রয়েছে। ফেগুনাসারের শ্রী শ্রী সার্বজনীন শিব মন্দির ৮৫০ বছরে অধিক পুরনো।
মালখানগর এলাকার অসীম কুমার দাস, দেবপ্রসাদ, কৃষ্ণ শুভ পোদ্দার, বাসন্তী চক্রবর্তী, চৈতী দেবনাথ, অনামিকা ভদ্র বলেন, ছোট সময় থেকে এখানে আসছি। শিবরাত্রির রাতই মহাদেবের প্রিয় রাত। শিবরাত্রির দিনে শিব পার্বতীকে বিয়ে করেছিলেন। শুধু তাই নয়, শিবরাত্রির দিনেই মহাদেব তান্ডব নৃত্য করেছিলেন। অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এটাই সবচেয়ে পূণ্যের রাত। কথিত আছে, যারা ভগবান শিবের মতো স্বামী চান, তারা এই দিন ব্রত করেন। শিবরাত্রির দিনের এই ব্রত শুধু অবিবাহিত মেয়েরাই নন, বিবাহিত মেয়েরা এমনকি ছেলেরাও এই ব্রত করতে পারেন।
সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে শিবলিঙ্গের পূজা হতো। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে এই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে ভক্তরা আসেন।