নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে চালের দাম ৫ ঘন্টার ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুন্সীগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন চালের দোকানে ঘুরে দেখা যায়, চাল উঠানোর হিড়িক পড়েছে। মনে হচ্ছে প্রত্যেকটি চালের দোকানে দিনভর চাল মুজদ করার প্রতিযোগিতায় মেতেছে। ইতোমধ্যে গোডাউন ও দোকানে চালের মজুদ শেষ করে ফেলেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চালের দাম বৃদ্ধিতে চরম উৎকন্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরে কয়েকটি দোকানে মুন্সীগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার মোঃ মনির হোসেনের সাথে বাজার পরিদর্শনকালে এমন তথ্য মেলে। দোকানদারদের অভিযোগ সাধারণ লোকজন দোকানে এসে ৫ বস্তা চাল চাইলে আমরা তো আর জিজ্ঞেস করব না কেন ৫ বস্তা চাল নিবেন। আমরা দিয়ে দিচ্ছি। অন্যান্য উপজেলায়ও চালের দাম বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রেতা জানিয়েছেন, প্রবাসীরা জানিয়েছেন তারা কিছুদিন যাবৎ বাসায় অবস্থান করছেন। তাই একমাসের চাল, ডালসহ সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে ঘরে মজুদ করার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করছেন। যেহেতু বাহিরে বের হওয়া যাবে না সেহেতু একমাসের সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে আনছি। যাতে করে আর আমাদের ঘরের বাইরে যেতে না হয়। অপরদিকে চালের আমদানী স্থল রিকাবী বাজারে মিল কারখানাগুলোতেও বিক্রির হিড়িক পড়েছে। ফলে চালের দাম কয়েক ঘন্টায় ৫ থেকে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দাম বৃদ্ধির খবর পৌঁছে গেছে সর্বত্র। কে কত চাল কিনতে পারে এমন প্রতিযোগিতা চলছে। অপরদিকে এই সুযোগে চাল ব্যবসায়ীরা কৌশলে করে বৃদ্ধি করে দিয়েছেন চালের দাম। মুন্সীগঞ্জ বাজারের চালের দোকানদার বলেন, নতুন চাল উঠবে তখন চালের দাম কমে যাবে। পুরাতন চাল আরতদারের কাছে শেষ পর্যায় তাই চাল মজুদ করার হিড়িক পড়েছে। অপরদিকে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চাহিদা বেড়েছে পূর্বের তুলনায় ৪-৫ গুণ। রিকাবী বাজারের চালের পাইকারী ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া মুন্সীগঞ্জের কাগজকে জানান, হঠাৎ চালের মূল্য কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়িয়েছে মোকামের সিন্ডিকেটরা। কি কারণে চালের দাম বাড়ল মোকামরা তা স্পষ্ট করেননি। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, চালের দাম বৃদ্ধি করার কোন সুযোগ নেই। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।