নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, অসচেতনতা ও সামান্য অবহেলা ডেকে আনতে পারে মহা বিপর্যয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে সমাজ। আর কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তা না লুকিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান। সমস্যা লুকিয়ে পরিবার ও সমাজকে বিপদে ফেলবেন না।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, ভয়াবহ মহামারি করোনা ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রমক ভাইরাস এবং অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে। তাই কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তা লুকানো যাবেনা। লজ্জা বা ভয় পাওয়া যাবেনা। উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করাতে হবে। লুকাতে যেয়ে নিজের সর্বনাশ করবেন না, পরিবার ও সমাজের সর্বনাশ করবেন না।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো প্রতিষেধক বা সহজ প্রতিকার ব্যবস্থা নেই। তাই প্রতিরোধই করোনা মুক্ত থাকার একমাত্র পন্থা। এ কারণে করোনাভাইরাস যাতে সংক্রমণ না ঘটাতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সকলকে ঘরে থাকতে হবে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অসচেতনতা ও সামান্য অবহেলা ডেকে আনতে পারে মহা বিপর্যয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে সমাজ।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস দানবীয় রূপ নিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে এবং সারা পৃথিবী এর আক্রমণে বিপর্যস্ত। বিশ^ব্যাপী মানুষ করোনার প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে সচেতন হয়ে উঠছে। অথচ আমাদের সমাজের কিছু কিছু মানুষ এখনও অবহেলা ও অসচেতন ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পুরো সমাজ ও দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কিছু কিছু মানুষ রাস্তাঘাট, বাজার, পাড়া-মহল্লায়, পার্ক ও চায়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কেউ কেউ। যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সকলকে সামাজিক দূরত্ব ও বাড়িতে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কিছু মানুষের ভুলের জন্য পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই সংক্রামক ভাইরাস অতি দ্রুতই এক ব্যক্তি থেকে পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সমাজের সকলের শতভাগ সচেতনতা অপরিহার্য।