নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা সমুন্নত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিন। দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামাত অপশক্তির অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সকলে রুখে দাঁড়ান।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি-জামাত অপশক্তির অব্যাহত সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। সমাবেশে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, ড. শহীদুল্লাহ শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীগোষ্ঠী লাগাতারভাবে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির মধ্য দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে। তথাকথিত আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করছে, জনগণের জানমালের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। স্বৈরাচারের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যে প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তা তাদের কর্মকান্ডেই প্রমাণিত হচ্ছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতি হলো যেন তেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করা। বিএনপির রাজনীতি হলো মিথ্যাচারের রাজনীতি, আগুন-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অপরাজনীতি।
তিনি বলেন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্বৃত্তায়নের প্রতিভূ বিএনপিই এ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান বাধা। এ গণতন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার করে। ওরা গণতন্ত্রকে বিশ^াস করে না। জন্মলগ্ন থেকেই স্বৈরতন্ত্রকে লালন-পালন করে আসছে বিএনপি। হত্যা-ক্যু, খুন, দুর্নীতি-লুটপাট সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্য দিয়ে জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালানো বিএনপির চিরায়ত অভ্যাস। এদের বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারক-বাহক নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামাত অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে হবে।