নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গজারিয়াবাসী আতঙ্কিত। এর আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তি নিহত ও শত শত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এজন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গজারিয়াবাসী শঙ্কিত। গতকাল সোমবার নির্বাচনি প্রচারণার প্রথমদিনই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী এলাকার কাজী ফার্মের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকদের উপর হামলা, মারধর, লুটপাট ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- ১। মহিউদ্দিন মোল্লা (৪২) পিতা- মৃত সহিদ মোল্লা ২। মোশাররফ হোসেন (৪৮) পিতা- সাজু বেপারী ৩। নিজাম মিয়া (৫৬) পিতা- নুরু বেপারী, ৪। মোঃ মোকলেছ মিয়া (৪২) পিতা- আশক আলী ৫। হেলাল উদ্দিন সরকার (৪১) পিতা- মৃত মীর কাসেম সরকার এবং ৬। মুক্তার হোসেন (৪১) পিতা- সোহেব আলী বেপারী। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চরচাষী গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লার অফিসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনি প্রচারণার মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং তাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত, অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনায় আহত গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের মার্কা পাওয়াকে কেন্দ্র করে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমরা। হঠাৎ নৌকার সমর্থক গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে ও আমার অফিসে ভাংচুর চালিয়ে অফিসে থাকা ব্যবসায়িক অর্ধ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যায়। খোকন চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন যাবৎ আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো, যা আমি দিতে অস্বীকার করে আসছিলাম।
এ বিষয়ে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আর চাঁদা দাবির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজিব খাঁন বলেন, ঘটনা শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাই। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।