নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর কালীপুরা ট্রলার ঘাটে নেই ইজারাদার। বলতে গেলে ভুতুড়ে খেয়া ঘাটে পরিণত হয়েছে ঘাটটি। প্রতিদিনই এই ট্রলার ঘাট দিয়ে পাশর্^বর্তী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার হাজারো মানুষ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতে এ নদী পারাপার হয়ে থাকে। নদী পারাপারে মাঝিমাল্লারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে বলে এমনটাই অভিযোগ ট্রলার যাত্রীদের। অপরদিকে ব্যস্ততম এ ট্রলার ঘাট থেকে প্রতিবছর প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
কালীপুরা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন এই ট্রলারঘাট পার হয়ে মতলব উপজেলার বেলতলী ঘাটে যাতায়াতে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৮/৯ শতাধিক মানুষ পারাপার হন।
আরেক বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন এখানে ৩০/৩৫টি ট্রলার চলাচল করে। একটি ট্রলার থেকে ২৫০ টাকা টোল আদায় করে এক নেতা। তবে নেতার নাম প্রকাশ করেনি।
ট্রলারের মাঝি ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘাটে দুই গ্রামের মাঝিদের ট্রলার চলে অন্তত ৭৫টি। একটি সময় দুই গ্রামের মাঝিদের মধ্যে ট্রলার চলা নিয়ে দ্বন্দ্ব হলে ওই সময় ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান দুই গ্রামের মাঝিদের ডেকে দুইদিন করে কালীপুরা গ্রামের ৩৫টি ও মোল্লাকান্দী গ্রামের ৩৫টি ট্রলার চলবে বলে মীমাংসা করে দেন। তার ঐ কথামত এখনো চলছে। ঘাটে ইজারাদার নেই। ট্রলার থেকে যে টোল আদায় করা হয় সে টাকা মসজিদে দেওয়া হয়।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে। ট্রলারে বয়া জ্যাকেট রাখার জন্য মাঝিদের বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুজ্জামান খান জিতুকে ঘাটের ইজারাদার নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গরীব মানুষ কোনরকম কাজ করে সংসার চালাচ্ছে।