নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্লোভ, নির্মোহ, সদালাপী, পরোপকারী অত্যন্ত সাদা মনের মানুষ একজন মানবতার ফেরিওয়ালা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মীরকাদিম, রিকাবীবাজারের কৃতি সন্তান পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র মুন্সীগঞ্জবাসীর গর্ব বর্তমান পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেন পিপিএম বার, বিপিএমবার (রাজনৈতিক) মহোদয়।
যিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের পাশাপাশি ভাবেন মুন্সীগঞ্জের অসহায়, হতদরিদ্র, অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষের কথা। কিভাবে লাঘব করা যায় গরীব, দুঃখী মানুষের দুঃখ, দুর্দশা। কিভাবে এলাকার মানুষকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখা যায়। অসহায় কর্মহীন মানুষকে সহায়তা করা যায়। মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় তিনি পাশে থাকেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন মানবকল্যাণে।
তিনি চাকরির সুবাদে বসবাস করেন ঢাকাতে, কিন্তু তার মন সদাই পরে থাকে নিজ জন্মস্থান মুন্সীগঞ্জে। চিন্তা করেন মুন্সীগঞ্জবাসীকে নিয়ে, ভাবেন এলাকার মানুষকে নিয়ে। কিভাবে মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবেন। দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত একটি সুন্দর পরিপাটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলই তার লক্ষ্য।
যখনি সময় পান ছুটে আসেন নিজ এলাকায়। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে এসে দাঁড়ান। মীরকাদিম, রিকাবীবাজারের মানুষের কাছে এআইজিপি মাহবুব হোসেন একজন আস্থাভাজন ও ভালোবাসার মানুষ হিসেবে অতি পরিচিত। তিনি তার ভালোবাসার যাদুতে খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারেন। বড়, ছোট, আপন,পর সকলেই তার কাছে সমান। তাকে অনেকেই বলে থাকেন মানবতার ফেরিওয়ালা ও একজন মানবসেবক। দেশের এই মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিলগ্নেও থেমে নেই তার মানবতার সহায়তা। এলাকার মানুষের প্রতি রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। করোনাভাইরাস সংক্রমণে লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া মানুষের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ায় নিম্ন আয়ের ও মধ্য আয়ের মানুষের মাঝে লকডাউনের শুরু থেকেই খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন করোনাভাইরাসের উপকরণ বিতরণ করেছেন। তার এই মহানুভবতার কথা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে মুন্সীগঞ্জবাসীর কাছে।
অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেন বলেন, পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেনো আমি মুন্সীগঞ্জের মানুষের পাশে থাকবো। আমি যেই স্কুলে পড়েছি, যেই কলেজে পড়েছি তা মুন্সীগঞ্জের নিরীহ মানুষের ঘামে গড়া, আমি তাদের কাছে ঋণী। অতএব, আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যতদিন এই মহামারী করোনাভাইরাস থাকবে ততদিন আমার এই সার্ভিস অব্যাহত থাকবে।