নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি সেতু বদলে দিতে পারে দুই গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা। অথচ এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ হচ্ছে না বছরের পর বছর। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সেতুর জন্য তা জানা নাই কারো। মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের কেয়টখালী হয়ে পুঁটিমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানুষ চলাচলের রাস্তা থাকলেও সেতু না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক লোক বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। সেতু থাকলে সিএনজি, লেগুনা, নসিমন, করিমন, ভ্যান, রিকশা, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারতো। মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল করা সরকারীভাবে নিষেধ করা আছে। এ সেতুটি না থাকায় পণ্য সরবরাহে ভাড়া লাগে দ্বিগুণ যা সাধারণ ক্রেতাদের ওপর বর্তায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষোলঘর ইউনিয়নের পুঁটিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে কেয়টখালী রোডটিতে সেতু না থাকায় কোন যান চলাচল করতে পারে না। বৃষ্টির দিনে এই সড়ক সেতু না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ। এতে করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে বেশি। সেতুটি না থাকায় অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
ষোলঘর ইউনিয়ন ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) মকদম হাওলাদার বলেন, বৃষ্টির দিনে সেতুটি না থাকায় চলাই দুষ্কর হয়ে পড়ে। পুঁটিমারা যেতে ২টি সেতু লাগবে। চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছি অল্পদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ ২টি হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। এই সেতুটি না থাকায় যাতায়াতসহ সব ধরনের যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুটি পাকা করা অতি জরুরি। এই সেতুটি যাতে পাকা করা হয় এজন্য আমাদের মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের এমপি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।