নিজস্ব প্রতিবেদক
একনেক সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহসহ ১১টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। প্রায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত একটি মেয়াদ বাড়ানোসহ মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক- এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুস সালাম।
তিনি জানান, ১১টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্প, কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘি বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রস্থে উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের উন্নয়ন, বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা ও মাছ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন (১ম পর্যায়), বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়), অবকাঠামোতে অ্যাক্সেসের মাধ্যমে দুর্বলদের জন্য স্থিতিস্থাপকতা প্রচার, উন্নত দক্ষতা ও তথ্য (প্রোভাটি) (প্রথম সংশোধিত), আটটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ বেতার, শাহবাগ কমপ্লেক্স স্থানান্তর ও আধুনিকায়ন প্রকল্প।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকল্প বিলম্ব হোক এটা আমরা চাই না, অনেক সময় ডলারের দাম বাড়া, এলসি সমস্যাসহ নানা কারণে প্রকল্প বিলম্বিত হয়। তবে যে কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পায় তার চুলচেড়া বিশ্লেষণ করেই করা হয়। বিনা যুক্তিতে এটা বৃদ্ধি পায় না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একনেকে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন
আগের পোস্ট