নিজস্ব প্রতিবেদক
ওমিক্রনের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ইস্যুর দিকটি বিবেচনা করে, আমাদের জনগণের সুরক্ষায় সীমান্তে অধিকতর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গতকাল রোববার ৯ জানুয়ারি ঢাকায় কূটনীতিকদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ উদ্বোধনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে এখন কূটনৈতিকরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। ওমিক্রন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে ড. মোমেন বলেন, সরকার এই মুহূর্তেই লকডাউনের কথা ভাবছে না। কারণ ওমিক্রনের মৃত্যুহার অনেক কম। তবে করোনার এই নতুন ধরনের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সব ধরনের যানবাহনে যাত্রীর সংখ্যা সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, সরকার সব জায়গাতেই যাত্রী সংখ্যা কমাতে পদক্ষেপ নেবে। আগেও এমনটি করা হয়েছে। আমরা সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি খুশি যে তারা ঢাকায় কূটনীতিক ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের জন্য এই বিশেষ ভ্যাকসিন কর্মসূচির ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, সরকার অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে, অনেক দেশ আমাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে এবং কোভ্যাক্সের আওতায় ভ্যাকসিনের ডোজ অনুদান দিয়েছে। সরকার তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কিন্তু করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দেখা দেওয়ায় এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সঠিক পথেই আছি, কিন্তু আমাদের নিজেদেরকে রক্ষা করতে হবে। এসময় মন্ত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি কূটনীতিকদের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
ওমিক্রন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান
আগের পোস্ট