নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে বিত্তশালী, মধ্যবিত্ত ও সচেতন শ্রেণীর লোকজন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য সুপার শপ ও বাজারে যাওয়াটা নিরাপদ মনে করছে না। তাই তারা তাদের চাহিদা মত জিনিসপত্রের জন্য অনলাইন ব্যবসার শরণাপন্ন হচ্ছে। ঢাকা শহরসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও অনলাইন ব্যবসার প্রসার ঘটছে, এমনকি এই অনলাইন ব্যবসা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিস্তার লাভ করছে। তবে অন্যান্য ব্যবসার মতো এই অনলাইন ব্যবসায়ও এক শ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়ছে। নিম্নমানের পণ্য ডেলিভারি দেওয়া, সময়মত পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অর্থের প্রাপ্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি করা তার মধ্যে অন্যতম।
যেহেতু এই অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে আমাদের কেনাকাটায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এবং দিন দিন এর প্রসার ঘটছে। তাই এই ব্যবসায় বৈধতা এবং পরিচালনা নিয়ে এখনো কোন সরকারী নীতিমালা তৈরি করা হয়নাই। অনেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এবং ইনকাম ট্যাক্স এর টিন নাম্বার নিয়ে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করছে। আবার অনেকে লাইসেন্সবিহীনভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধভাবে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় দৃষ্টি দেওয়া অতি প্রয়োজন। আইনসঙ্গতভাবে নিয়ম এবং নীতিমালার আওতায় অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার সরকারী দিক নির্দেশনা থাকা জরুরী বলে ভোক্তারা মনে করেন। এতে পণ্যের মান বজায় থাকবে এবং অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে ঝামেলা হবে না। এতে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে না তেমনি ভোক্তাদের অধিকারও ক্ষুন্ন হবে না। তাছাড়া পণ্যের মূল্য পরিশোধ করার মাধ্যম কি হবে, নগদ, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ বা অন্য কোন মাধ্যমে, যে মাধ্যমেই লেনদেন হোক না কেন টাকার নিশ্চয়তা ও ক্রেতার সঠিক জিনিসপত্র পাওয়ার বিষয়েও সরকারের নজরদারি থাকতে হবে। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গতভাবেই অনলাইন ব্যবসা বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করবে।