নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- এই লকডাউনকালীন সময়ে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকেরই জীবিকা সমস্যা সঙ্কুল হয়ে পড়ছে। তাই কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় খাদ্য ও নগদ অর্থ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ শহর ধলাগাঁও বাজার ও মিরকাদিম পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণের মাঝে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আর্থ-সামাজিক কুশলাদি বিনিময়ের জন্য যান। এসময় তিনি ঐ সকল এলাকার রিক্সা, ভ্যান, মিশুক, অটোরিক্সা চালক, সবজি বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, দিনমজুর, অসহায়-দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. গোলাম মওলা তপন, মনিরুজ্জামান রিপন, জাকির হোসেন, আপন দাস, আবুল কাসেম, আসাদুজ্জামান লিপন, কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন, এইচ. এম. শান্তনুর প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে যেন কেউ না খেয়ে কষ্ট না পায়। সকলের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যাপক কর্মদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে সকলেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলুন, অসহায় মানুষের পাশে থাকুন।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যসেবায় নবতর ব্যবস্থার উন্নতি করে চলেছে। মানবিক এই সংকটে নিজেদের উজাড় করে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। আগামীতে ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। এই সংকট, আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিচার বিশ্লেষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলেছেন।