নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা মানসিক বিকাশ ঘটায়, ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করে এবং মানবিক আচার-আচরণের অনুশীলন ঘটায়। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
গতকাল রবিবার মুন্সীগঞ্জ শহরে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লীগের ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান আনিসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ ফুটবল কোচ নজরুল ইসলাম, এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি রাজন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, আরিফুর রহমান, আব্দুল মান্নান দর্পন, কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি থেকে আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে দূরে থাকতে হবে। সৎ চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আদর্শবান হয়ে বাংলাদেশকে যেন আগামী দিনে নেতৃত্ব দিতে পারে, আমাদের আজকের ছেলেমেয়েদেরকে সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা শুধু ব্যক্তি জীবনেই শান্তি বয়ে আনে না, সাামজিক জীবনেও তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিস্থাপনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু-কিশোরদের ভালবাসতেন। তিনি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ছিলেন। তরুণ বয়সে নিজে ফুটবল খেলতেন এবং সারাজীবন খেলাধুলা ভালবাসতেন। স্বাধীনতার আগে ও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমানও ছিলেন একজন পরিচিত ফুটবলার। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন কৃতী ফুটবলার; খেলতেন হকি, ভলিবলও।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও ক্রীড়াবান্ধব মানুষ। তিনিও খেলাধুলা ভালবাসেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে তিনি বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আপনজন, দায়িত্বশীল অভিভাবক, নিবেদিতপ্রাণ দর্শকÑ ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনাকালেই বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের বড় অর্জনগুলো স্পর্শ করেছে।