নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কৃতি সন্তান, খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার ও রাজনীতিবিদ শফি বিক্রমপুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি……..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। গতকাল বুধবার সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও একাধিক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালক শফি বিক্রমপুরীর মৃত্যুতে তার নিজ এলাকা শ্রীনগরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শফি বিক্রমপুরীর মরদেহ থাইল্যান্ড থেকে দেশে আনার পর তার প্রতিষ্ঠিত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন আল মদিনা জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
শফি বিক্রমপুরী বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের অত্যন্ত সফল এবং সকলের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। তার প্রযোজনা ও পরিচালনায় অনেক আলোচিত ও দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, ফোক ফ্যান্টাসি যাদুর ছবি ডাকু মনসুর, বাহাদুর ও রাজদুলারী এবং সমাজনির্ভর কাহিনীর ছবি সবুজ সাথী, সকাল সন্ধ্যা, মাটির কোলে, শশী পুন্নু, জজসাহেব, দেনমোহর, অবুঝ মনের ভালোবাসা ইত্যাদি।
শফি বিক্রমপুরী একজন সমাজসেবক হিসাবে আল মদিনা জামে মসজিদ ছাড়াও তার নিজ গ্রাম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সেলামতি এলাকায় বেগম ফাতেমা আরশেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আরধীপাড়া গ্রামে নাসিমা শফি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেত্রকোনায় পাঁচকাহনিয়া ফাতেমা আমীর আলী দারুল উলুম মাদ্রাসা এবং দশাল আশরাফুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।