নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও কঠোর অবস্থান করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এসময় আমিরুল ইসলাম বলেন, যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশে তারা সর্তক অবস্থানে আছেন। তিনি বলেন, অনেক খেলা হয়েছে, এবার কিন্তু মাইর হবে। যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।
বিকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাসের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন এর নেতৃত্বে চাষীরচরে, বাউশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান এর নেতৃত্বে বাউশিয়ায়, বালুয়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল এর নেতৃত্বে বালুয়াকান্দিতে, ইমামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতুর নেতৃত্বে ইমামপুরে, বালুয়াকান্দী ইউপি যুবলীগ নেতা মোঃ জুয়েল প্রধান এর নেতৃত্বে তেতৈতলা হাঁসপয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এদিকে সড়কপথে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই বাউশিয়া পাখির মোড়, দড়ি বাউশিয়া, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড, আনারপুরা, ভাটেরচর ও জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্য সংখ্যাও। চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় ঢাকামুখী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। সকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শনে এসে পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সামনে রেখে তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়নি। দেশব্যাপী ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।