নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আলোচিত ডালিম দেওয়ান (৩৯) হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভা করেছে নিহতের স্বজনরা। ডালিমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ৯ দিন পার হলেও এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল রবিবার বিকালে বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামে নিহত ডালিমের বাড়িতে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ডালিমের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান, ফরিদ হোসেন দেওয়ান, নুরুল ইসলাম মাস্টার, আল আমিন দেওয়ান, আবুল বাশার মাস্টার, জসিম সরকার, ইউপি সদস্য ডালিম মেম্বার।
এসময় নিহত ডালিমের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান বলেন, ডালিম হত্যাকান্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার আগে কারা ডালিমের সাথে ছিলো তা সবাই জানে। তবে তাদের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। অন্যদিকে ডালিমের মোবাইল ফোনটি হত্যাকান্ডের পর দুইদিন চালু থাকলেও তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ আন্তরিক নয় দাবি করে পুলিশি তৎপরতা বাড়িয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আবুল মাস্টার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে অনেক আগেই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারতো। আমরা এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবহেলা দেখতে পারছি। ডালিম হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে দরকার হলে আমরা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাবো।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, লাশ উদ্ধারের পরদিন ৮ মার্চ বিকালে নিহতের বড় ভাই আমিনুল দেওয়ান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে গজারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ নদীতে ভাসমান অবস্থায় ডালিম দেওয়ানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল দেওয়ানের ছেলে। গত ৬ মার্চ বিকালে ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ডালিম।