নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের শত শত ভূমিহীন মানুষ এক যুগের বেশি সময় যাবৎ বন্দোবস্তোর দলিল বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও বুঝে পায়নি জমি।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী ভূমিহীনরা। মানববন্ধনে বন্দোবস্ত পাওয়া তেতৈতলা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী বেপারীর ছেলে আমান উল্লাহ (৭০) বলেন, দীর্ঘ ত্রিশ বছরের বেশি সময় তেতৈতলা মেঘনা পুরাতন ফেরীঘাট বাজার রোডের পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। সরকারি বন্দোবস্ত পাওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জমির দখল বুঝে না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
একই সড়কের পাশে বসবাসকারী মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী মলুদা বেগম (৬৫) বলেন, দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবৎ এই সড়কের পাশে বসবাস করছি। স্বামী মারা গেল, দখল দেখে যেতে পারেন নাই। আমি বেঁচে থাকতে দখল দেখে যেতে পারবো তো?
জানা যায়, ৬ই ডিসেম্বর ২০১০ইং সালে জেলা প্রশাসকের স্মারক নং ০৫.২৭২.৩০৩.২২.০০.০০৪. ২০১০-৭৯৪(ক)(সং) এর মাধ্যমে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত ভূমিহীন পরিবারকে আড়ালিয়া মৌজার ১নং খতিয়ানের খাস জমিতে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত জমির দখল পাননি তারা।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েল বলেন, আমি ২ বারের চেয়ারম্যান। অনেকদিন যাবতই ভূমিহীন মানুষগুলো আমার কাছে আসে। এর পূর্বেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে বিশেষ অনুরোধ করবো, ভূমিহীন এই মানুষগুলোর বিষয়টা দেখার।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার বলেন, আপনারা জানেন আমি নতুন এসেছি। আর এই মুহুর্তে এসিল্যান্ড নেই। এটা সময়ের বিষয়। তবে আমি চেষ্টা করবো ভূমিহীনরা যেন দ্রুত তাদের দখল বুঝে পায় সে ব্যবস্থা করতে।