নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় রাহাফুল খানের হত্যাকান্ডের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য এখন পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম। এদিকে এই হত্যাকান্ডকে ঘিরে গজারিয়া জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা গেছে, উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের চরপাথালিয়া গ্রামের জাহিদ হোসেনের ছেলে রাহাফুল খান বাউশিয়া সমিতি মার্কেট নিউ নবাবপুর ইলেকট্রিক এন্ড ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক ছিলেন। তিনি গত ১০ দিন ধরে পার্শ্ববর্তী বাউশিয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ওয়াজেদ বেপারীর ভাড়া বাসায় একা থাকতেন। গত রোববার সকালে তার দোকান বন্ধ দেখে দুপুর ১২টার দিকে তার স্বজনরা তার ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখতে পায় তালাবদ্ধ রুম। এসময় বাহির থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বিষয়টি সন্দেহজনক হলে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তালা ভেঙে রুমে প্রবেশ করে দেখে সোফার মধ্যে পড়ে আছে রাহুাফুল। তার মাথা, পেট, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। আশেপাশে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পরে রাহাফুল খানের মরদেহ উদ্ধার করে গেল সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে এ হত্যাকান্ডকে ঘিরে গজারিয়ায় জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। আর্থিক লেনদেন অথবা নারীঘটিত কারণে রাহাফুল খান হত্যার শিকার হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাহাফুল খানের হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোল্লা সোহেব আলী জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা বিভিন্নভাবে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।