নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি-২০২৩ইং পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেফায়েত উল্লাহ খাঁন তোতা সিআইপি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন মৃধার সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী খোকন, টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান ফরাজী, ইমামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, বালুয়াকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েল, হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল হক মিঠু, রুপালী ব্যাংক লিঃ এর ডিজিএম ও ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, দাতা সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খোকন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জামান, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা ফরিদা ইয়াসমিন, হাজী কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আজিম উদ্দীন ফরাজী, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আব্দুল হান্নান প্রধান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব হোসেন, সাবেক কো-অপ্ট সদস্য হুমায়ুন কবির সরকার, কো-অপ্ট সদস্য মোঃ শাহজালালসহ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামী দিনে তোমাদেরকেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তোমাদেরই যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি হতে হবে। তবেই দেশ দূর্নীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অবহেলিত এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি করে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার সুফল দেশের স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা ভোগ করে আসছে।
অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতা কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত, গত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।