নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ সকল মৌলিক মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে গৃহ প্রদান, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে বই প্রদান ও উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারণ, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও ইউনিয়ন পরিষদে বিশাল মোটর শোভাযাত্রা ও সমাবেশে গণসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুজ্জামান খান জিতু। এসময় বক্তৃতা করেন রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা, অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন, আতাউর রহমান নেকী খোকন, অধ্যাপিকা ফরিদা ইয়াসমিন, ইঞ্জিনিয়ার সাইদ মোঃ লিটন, মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, কামরুল হাসান ফরাজী, মোঃ শহিদুজ্জামান জুয়েল, মনিরুল হক মিঠু, সারোয়ার সোহরাওয়ার্দী, মোঃ সাহাবুদ্দিন, লোকমান হোসেন সরকার, মোঃ ইউনুস, মোঃ সোহরাব হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল হক তুরিন প্রমুখ।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন হলো দেশের সকল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করা। তিনি চান বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায়, সবাই যেন খেয়ে পড়ে ভাল থাকে। তিনি চান যেন কোন মানুষ গৃহহীন না থাকে, অত্যন্ত গরীব ভূমিহীনেরও যেন মাথা গোঁজার মতো একটি গৃহ থাকে। তিনি চান অসুখে যেন সকলেই চিকিৎসা পায়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যের ভয়াবহ অভিঘাত জয় করে সমৃদ্ধ অর্থনীতির মজবুত ভিত রচনার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশের শতকরা ২৯ ভাগ মানুষ বিভিন্ন ভাতার আওতায় এসেছে। সারাদেশে ১৩ লাখের বেশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এখন আর কেউ না খেয়ে মরে না। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। শহরের মতো গ্রামের স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজে ডিজিটাল ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপিত হয়েছে। সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ সকল মৌলিক মানবাধিকারকে আরও সুসংহত করতে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।