নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায় মৎস্যখাতে নিয়োজিতদের উন্নয়নকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার “নিরাপদ মাছে ভরবে দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” -এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে র্যালি, মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আসলাম আলম মোল্লা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তৌফিক মাহমুদ, মৎস্যজীবী হোসেন মোল্লা, সংগঠক সেলিম বেপারি, আমানুল্লাহ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে পানি সম্পদের প্রাচুর্য। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদ অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। কৃষি অর্থনীতি নির্ভর বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি খাত। আমাদের বাংলাদেশে মাছের যে প্রাচুর্যতা এবং বহুমুখিতা রয়েছে তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে প্রাণিজ আমিষের অভাব দূর করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপির নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মৎস্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে এই খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ব্যাপক উৎপাদনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের ভূমিকা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। বলা যায়, এ দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য খাতে নিয়োজিতরা কেবল আমাদের অর্থনীতিকে গতিশীল করছে না, সেইসাথে আমাদের আমিষের চাহিদা পূরণ করছে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রাপ্তির সুযোগ সম্প্রসারিত করছে। তাই এ খাতে নিয়োজিতদের কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা প্রয়োজন। বিশেষত নদীতে যখন মাছ ধরা বন্ধ করা হয়, তখন মৎস্যজীবীদের জন্য সরকার যে সহায়তা প্রদান করে তা যাতে সংশ্লিষ্টরা সহজেই পায় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বের অনেক দেশেই সামুদ্রিক মৎস্য চাষ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের বিস্তৃত সমুদ্র অঞ্চলেও এর যথেষ্ট উপযোগিতা রয়েছে। এই বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে মৎস্যখাতে নিয়োজিতদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সেই সাথে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক ও সচেতন হতে হবে।