নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী, গুয়াগাছিয়া ও টেংগারচর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য বিতরণ, টেঙ্গারচর ইউনিয়নে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে বৃক্ষরোপণ করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেফায়েতুল্লাহ খান তোতা, অধ্যাপক ডা. মাযহারুল হক তপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন মাস্টার, মিজানুর রহমান প্রধান, আতাউর রহমান, শহীদুজ্জামান জুয়েল, মনিরুল হক মিঠু, ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ হোসেন লিটু প্রমুখ। অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কেন্দ্র ছিল জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সব কর্মকান্ডের প্রেরণা। জনগণের ওপর বিশ্বাস ছিল তার কর্মকান্ডের ভিত্তি এবং জনগণের কল্যাণই ছিল তার সব কর্মকান্ডের লক্ষ্য। নির্যাতিত-নিপীড়িত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র ব্রত। তিনি বলেন, একজন নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছিল অতুলনীয় দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি অপরিমেয় ভালোবাসা। একজন মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসীম সাহসী, বিশাল হৃদয়ের এবং উদার দৃষ্টিভঙ্গীর সহজ সরল মানুষ। নীতি ও আদর্শে তিনি ছিলেন দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। তিনি বলেন, আমরা যদি সত্যি তাঁর আদর্শের রূপায়ন চাই, তাহলে আমাদের স্বতন্ত্র স্বদেশচিন্তায় উদ্ভাসিত উন্নয়ন-কৌশল অবলম্বন করতেই হবে। স্বস্তির কথা, ধীরে ধীরে হলেও আমরা তাঁর আরাধ্য সেই পথেই ফের হাঁটতে শুরু করেছি। যেমন করেই হোক এই অভিযাত্রায় আমাদের সফল হতেই হবে। তবেই না বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।