নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ খলিলুর রহমান শিকদারের বসতঘরের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের ভোরন্ডা গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে।
গতকাল সোমবার সকালে ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান শিকদার জানান, গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড়ে সড়কের গাছ পড়ে পল্লীবিদ্যুতের এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় বালিগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে মুঠোফোনে অভিযোগ দেওয়ার পরও সেখানকার ইনচার্জ আ. বাতেন সেটি আমলে নেয়নি। অভিযোগ দেওয়ার পরও তাকে ১৫ বার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি আর কল রিসিভ করেননি। পরেরদিন তারা ঘটনাস্থলে আসলে ফোন না ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন। তার বেশি শক্তির বলে টঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশের কাছে আমাকে সন্ত্রাসী বানিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমার স্ত্রী একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। আমার ছেলে একজন চিকিৎসক এবং আমার মেয়ে পড়াশোনা করছে। আমরা শিক্ষিত পরিবার। তাদের সাথে কি এমন খারাপ আচরণ হয়েছে যে আমার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও তারা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার বসতঘরের এলটি-এ (আবাসিক) মিটার যাহার হিসাব নং ০৩৪৫২৪০৬০ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নিয়ে গেল। পরে আমি মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় টঙ্গীবাড়ী জোনাল অফিসে আমার মিটারের সংযোগ ফিরে পাওয়ার জন্য গেলে সেখানকার এক কর্মকর্তা শান্ত সাহা আমাকে টঙ্গীবাড়ী থানার সাথে যোগাযোগ করতে বলে। আমি টঙ্গীবাড়ী থানায় গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব খান আমাকে জানায়, এটা পল্লী বিদ্যুতের বিষয়। আমি পরিবার নিয়ে ১২ দিন যাবৎ অন্ধকারে রয়েছি। এখন কোথায় গেলে এর সমাধান পাবো, তা আমি জানি না। এ বিষয়ে বালিগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ আ. বাতেন জানান, আমি কোন বক্তব্য দিবো না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, এ ধরনের ঘটনায় পল্লীবিদ্যুতের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেনি।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ রাজিব খান জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তাদের পুলিশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. হযরত আলী জানান, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।