নিজস্ব প্রতিবেদক
ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে তালতলা-ডহুরী খালের বালু উত্তোলনের ফলে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাইচাইল এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও খালের অপরপাড়ের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। একটি প্রভাবশালী চক্র কোন অনুমতি ছাড়াই যত্রতত্র খাল থেকে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে জানান, তালতলা-ডহুরী খালের কাইচাইল এলাকার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের হারুন হালদারের ছেলে বাবু (৩৫), সুবচনী এলাকার আবেদ আলী বেপারীর ছেলে টিটু বেপারী (৩৩) অবৈধভাবে নিয়ম-নীতির কোন প্রকার কোন তোয়াক্কা না করেই ড্রেজার দিয়ে ওই খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত বাবু ও টিটুর যোগসাজশে কাইচাইল এলাকার খোরশেদ হালদার (৪৭) কাইচাইল মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তার পাশের একটি জমি বালু দিয়ে ভরাট করছে ও একই এলাকার জয়নাল হালদার (৫৫) তার নতুন বিল্ডিংয়ের নিচের অংশ খাল হতে অবৈধভাবে নিয়ে ভরাট করেছে। বাবু, টিটু ও সুবচনী খালের অপরপ্রান্তের মকবুল সিন্ডিকেট এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। মাস খানেক ধরে এই অঞ্চলে মাটিকাটা শুরু করে। যত্রতত্র মাটি কাটার ফলে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাইচাইল, সুবচনী, জহরপাড়া ও পার্শ¦বর্তী সিরাজদিখান উপজেলার তেলিপাড়াসহ আশপাশের এলাকার খালপাড়ের বাড়ী ও ফসলি জমিগুলো খালের উপর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বালিগাঁও বাজার থেকে তালতলা পর্যন্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রভাবশালীদের আরো বেশ কয়েকটি ড্রেজার। এসব প্রভাবশালীরা কারো কথা না শুনে উত্তোলন করে চলছে বালু। এতে করে খালের আশপাশের অন্য গ্রামগুলো রয়েছে হুমকির মুখে। অচিরেই এসব অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হলে আশপাশের গ্রামগুলো বিলীন হয়ে খালটি পরিণত হতে পারে একটি বিশাল নদীতে। বিষয়টি টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশীদকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি সাথে সাথে ওই স্থানে পুলিশ পাঠান এবং পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
টঙ্গীবাড়ীতে অবৈধ ড্রেজিং, হুমকির মুখে ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি
আগের পোস্ট