নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ মর্মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে ‘লাভজনক সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ এর আওতায় কৃষক সমাবেশ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার কৃষি কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ ও আধুনিকায়নের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিস এর যৌথ উদ্যোগে নতুন ইনোভেটিভ কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কর্মপরিকল্পনাটির নামকরণ করা হয়েছে- ‘লাভজনক সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’। উক্ত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন ও অবহিতকরণে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদে কৃষকদের মাঝে সমাবেশ হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ রাসেদুজ্জামান। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী মোঃ নাহিদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজ আল আসাদ, সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. নাছিমা আক্তার, টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার মাঝি প্রমুখ।
সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতিবছর বিনামূল্যে কৃষকগণকে বীজ ও সার বিতরণ করছে এবং ভর্তূকিমূল্যে সবাইকে কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস এর উদ্যোগটি অত্যন্ত সময়োপযোগী, যা টঙ্গীবাড়ীর কৃষিকে সমৃদ্ধ করবে।
বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ রাসেদুজ্জামান বলেন, টঙ্গীবাড়ীর কৃষিকে ত্বরান্বিত ও আধুনিকায়নের জন্য এবং বর্তমান সংকট মোকাবেলায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আমরা বাণিজ্যিক ও লাভজনক কৃষি উৎপাদনের জন্য কাজ করছি এবং সকলকে নিরাপদ খাদ্য উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নতুন ইনোভেটিভ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষকগণকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক মন্দার কারণে প্রতিটি দেশে খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিম্নলিখিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা – পরিবেশ সুরক্ষা ও প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ এবং মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর আহ্বান- ৪০% ভোজ্যতেল উৎপাদন বৃদ্ধি বাস্তবায়নে লক্ষ্যমাত্রাগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে সাসটেইনেবল ডেভেলপম্যান্ট গোলসমূহ অর্জন করা হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে যা নিম্নরুপ- কৃষি বাণিজ্যিকীকরণে নিরাপদ সবজি উৎপাদন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি বাড়ীর ও বসত বাড়ীর প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল আবাদ, পতিত জমিতে ফসল চাষ, ভোজ্য তেল আমদানি হ্রাসে তেল ফসল আবাদ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসনে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ, লাভজনক কৃষি উৎপাদনে রপ্তানিযোগ্য ফসল চাষ, নতুন শস্য বিন্যাসে ফসল উৎপাদন ও আধুনিক প্রযুক্তিসমূহ অন্তর্ভুক্তিকরণ।