নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে হামলায় আহত বিক্রমপুর টঙ্গিবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভোরের পাতা পত্রিকার টঙ্গিবাড়ী প্রতিনিধি সুমন খানের জ্ঞান এখনো ফিরেনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০১নং ওয়ার্ডের ১৯৯নং বেডে সুমন ভর্তি রয়েছে বলে গতকাল বুধবার বিকালে তার বড় ভাই রাহাত খান রুবেল জানায়। সে আরো জানায়, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সে এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। হামলাকারী পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সুমনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো বলে জানান সুমন খানের স্ত্রী সাহেলা আক্তার। পরে সুমন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার কেবল নেটওয়ার্কের ওয়াইফাই লাইন টানতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমনসহ ৩ জন আহত হয়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের মৃত সাত্তার খানের ছেলে সুমন খান বাড়ির পাশেই টঙ্গীবাড়ী উপজেলার মাঝি বাড়ি এলাকায় ওয়াইফাই লাইনের তার টানতে যায়। এ সময় অপর ওয়াইফাই ক্যাবল লাইনের মালিক টঙ্গীবাড়ীর মাঝি বাড়ির বাচ্চু মাঝি তাদের বাধা দেয়। পরে পূর্বের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাচ্চু মাঝি, দিপু মাঝি, তুমান মাঝি, রায়হান মাঝি, তুর্যয় মাঝি, সোহাগ মাঝিসহ ১৫-২০ জন হামলা চালিয়ে সুমন খান ও তার সাথে থাকা সহিদ খান, ইমন খানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তারা সুমন খানকে রাস্তার পাশ হতে তুলে নিয়ে টঙ্গীবাড়ী মাঝি বাড়ির সামনের এক সবজির আড়তের ভিতর ঢুকিয়ে লোহার রড, কাঠের ডাঁসা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আহত সুমন খানের স্ত্রী সাহেলা আক্তার বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি হারুন অর রশিদ জানান, মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।