নিজস্ব প্রতিবেদক
‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল উপজেলার মতো মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলায়ও ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৪র্থ পর্যায়ে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সারাদেশে একযোগে ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ গৃহ প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ২৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেলো দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর। পরিবারগুলো রোজার পূর্বে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে বেজায় খুশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধনের পর টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমিসহ ঘরের দলিল তুলে দেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নব-নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবদুল ওয়াহিদ, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ নাহিদ খান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসিমা আক্তার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা আফরিন, অফিসার ইনচার্জ টঙ্গীবাড়ী মোঃ রাজিব খান, উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহেল কাফী, আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েতুল ইসলাম বাদল মল্লিক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার মাঝি, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলি পারভীন, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেকান্দর বেপারী, আক্তার হোসেন মোল্লা, আঃ রহিম মিয়া, আনিসুর রহমান, ইসমাইল খান, হাজী মোঃ দুলাল, মোঃ নুরুজ্জামান দেওয়ান, মোঃ লুৎফর রহমান হালদারসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ২০টি, ২য় পর্যায়ে ১৫টি, ৩য় পর্যায়ে ৯টি ও এবার ৪র্থ পর্যায়ে ২৬টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে পেলো।