নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার তৈলকাই মৌজার ১৪৪ শতাংশের বিশাল সরকারি দীঘি জাল দলিল করে দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে একটি চক্র। এরা হলেন মো. আওলাদ হোসেন হালদার, বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সালাউদ্দিন শেখ, স্থানীয় তৈয়ব আলী শেখ ও শাহীন ঢালী মিলে দীঘিটি জোর করে দখলের পায়তারা করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল দীঘির কচুরিপানা পরিষ্কার করে পূর্বপাশের বিশাল অংশের মাছ ধরে নিয়ে গেছে জেলের। পশ্চিম অংশে বড় বড় কচুরিপানা থাকায় এখনো ওই অংশের মাছ ধরেনি।
তবে স্থানীয়রা জানান, মূলত সরকারী সম্পত্তি দখলে নেওয়ার প্রস্তুতি হিসাবে তারা প্রথমে দীঘি হতে জেলে দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেছে। আমরা শুনেছি এই দীঘি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করবে তারা।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, মগাই দীঘি নামে পরিচিতি পূর্ব বালিগাঁও গ্রাম ঘেঁষে দীঘির তৈলকাই মৌজার আয়তন ১ একর ৪৪ শতাংশ। সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত দীঘির আশেপাশের লোকজন ব্যবহার ও মাছ ধরে ভোগ করে আসছিল। কিন্তু একটি চক্র দখলের পায়তারা করায় স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
তৈলকাই গ্রামের শাহ আলম শেখ (৬০) বলেন, এটা হচ্ছে স্থানীয় নবারুণ দাশ গুপ্তের দাদী কুমুদিনী বিবির নামে ছিল। তাদের পূর্বপুরুষেরা জমিদার ছিল। আগে থেকেই স্থানীয় গরীবরা বা পাশে যাদের জমি ছিল তারা দীঘিটি ব্যবহার করতো। বর্তমানে আওলাদ হোসেন হালদার, তৈয়ব আলী শেখ, সালাউদ্দিন মেম্বার আরও তাদের সঙ্গের লোকজন মিলে দীঘিটা দখলের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. আওলাদ হোসেন হালদার বলেন, আমরা মালিক হতে সম্পত্তি ক্রয় করেছি। কাগজপত্র দেখার বিষয় বললে, তার সামনে এলে বলবেন তিনি এমনটা জানান।
আরেক অভিযুক্ত তৈয়ব আলী শেখ বলেন, আমরা স্বপন দাস গুপ্তের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। আমাদের দলিলে ১৪২ শতাংশ ক্রয় রয়েছে। আমরা চারজন ক্রয় করেছি।
এদিকে, স্বপন দাস গুপ্ত বলেন, আমি তৈলকাই মৌজায় কোন সম্পত্তি বিক্রি করি নাই। বিক্রি করেছি পূর্ব বালিগাঁও মৌজার সম্পত্তি। পরিমাণ ৩২ শতাংশ। এর বাইরে কোন মৌজার একটুও বিক্রি করিনাই।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।