নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের মজবুত ভিত রচনায় প্রয়োজন শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জন। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণকে ত্বরান্বিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমে মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন ASSET প্রকল্পের আওতায় কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও প্রচারণাসহ শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে আয়োজিত উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ডঃ সুশীল কুমার পালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার নিশাত ফারাবী, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তুষার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি পিয়ার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ঐতিহাসিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বর্তমান বিশ্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পর্যাপ্ত উন্নয়ন এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শুধু বর্তমান সরকারেরই নির্বাচনী অঙ্গীকার নয়- বরং এটি জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি এবং শর্তও বটে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ^াস করে- বাংলাদেশ এক গর্বিত ও সাহসী তারুণ্যের দেশ। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের তরুণ সমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তারুণ্যের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল, ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে অবাধ-তথ্য প্রযুক্তির দুয়ার খুলে দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারুণ্যের সেই প্রাণশক্তির পুনর্জাগরণ ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন সততা-নিষ্ঠা দক্ষতা কর্মকৌশল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে দেশ গঠনে সম্পৃক্ত করেছেন। যার অন্যতম প্রাণ-সঞ্চারী পদক্ষেপ হলো- ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন।
তিনি বলেন, দেশের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়তে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে। দেশের তরুণ-যুবসমাজকে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে যুগোপযোগী এসকল পদক্ষেপ এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির গতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে।