নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে গতকাল শুক্রবারও ঢাকামুখী গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ঢাকার কর্মস্থলে যেতে শিমুলিয়া ঘাটে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন গার্মেন্টস কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত টানা চারদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে শত শত শ্রমিক পদ্মা পাড়ি দিয়ে আসছেই শিমুলিয়া ঘাটে। করোনাভাইরাসের ঝুঁঁকির মধ্যে ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে ঢাকামুখী শ্রমিকরা ছুটে আসছেন। শিমুলিয়া ঘাটে এসে যানবাহনের অভাবে পড়তে হচ্ছে আরেক ঝামেলায়। তার ওপর আবার বৃষ্টি যেন আরো বিপাকে ফেলছে যাত্রীদের।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, দক্ষিণবঙ্গের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে শত শত শ্রমিক। ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রীদের আসার চিত্র দেখা যায়। এদের বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গার্মেন্টসের কর্মী।
তিনি আরো জানান, ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে শ্রমিকরা ছুটে আসার কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তবু তাদের ঢাকায় ছুটে চলা থামানো যাচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি ও ট্রলারে ছুটে আসছেন গার্মেন্টস কর্মীরা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ মহা-ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সীমিত আকারে এ নৌ-রুটে ফেরি চলছে। জরুরি সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে যাত্রী সাধারণ ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। এদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস কর্মী। তবে গেল কয়েকদিনের তুলনায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমসংখ্যক যাত্রী পারাপার হতে দেখা গেছে।
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে আসার পর শ্রমিকরা বাস না পেয়ে অটোরিকশা, রিকশা কিংবা সিএনজিতে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে। শ্রমিকদের কথা হচ্ছে, কষ্ট যতই হোক, আগে চাকরি বাঁচাতে হবে। তাই ছোট ছোট যানবাহনে চড়ে সড়কে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় ছুটছেন তারা। আবার যানবাহনের অভাবে কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই ছুটে যাচ্ছেন ঢাকায়। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কবলে পড়ছেন গার্মেন্টস কর্মীরা।