নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সহজ ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এজন্য একমুখী প্রশস্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা রাস্তা কোনো কিছুরই কমতি রাখা হয়নি। কিন্তু এখন উল্টো এই এক্সপ্রেসওয়ে পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। গতকাল সোমবার পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে মশুরগাঁও ফেরী ঘাট এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় আলম (৩৮), দুপুরে বেজগাঁও যাত্রী ছাউনির সামনে গাংচিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের পিছনে স্বাধীন এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সুমন (১৫) মৃত্যুবরণ করেন। গত ১৪ জুলাই মশুরগাঁও ফেরিঘাট এলাকায় মাইক্রোবাস উল্টে ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গত ১৭ জুলাই ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডে ২ বাসের সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১০টায় সিলিন্ডার বোঝাই পিকআপ উল্টে দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে নারী ও শিশুসহ তিনজন। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকা, ট্রাফিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো, স্পিড লিমিট না মানা, কে কার আগে যেতে পারে তা নিয়ে চালকদের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া -এসব কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে এখন দেশের সবচেয়ে বিপজ্জনক সড়কগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়মিত যাতায়াতকারী মোঃ সাইফুল দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজকে বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়ি আর বাইক স্পিড লিমিট লঙ্ঘন করে ভীষণ দ্রুত চলে। কিছু গাড়ি আর বাইক অকারণে রাস্তার মাঝখানে থামে। বাসগুলো যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করায়। গাড়িও স্পিড লিমিট লঙ্ঘন করে। যার ফলে দূর্ঘটনা ঘটে। মাত্রাতিরিক্ত গতি আর উদাসীনতা এই এক্সপ্রেসওয়েতে আসলেই বড় সমস্যা।
স্থানীয় আমিনুল বলেন, রাস্তায় যানবাহনগুলো একে অপরের সাথে পাল্লা দেয়। পাল্লার কারণে যাত্রীদের প্রাণহানি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেল চলছে বেপরোয়াভাবে, দরকার সবার সচেতনতার। সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগও কঠিনভাবে করতে হবে। তবেই এ সড়কে দূর্ঘটনা কমে আসবে।