নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারের নদীর পাড়ে কাঁচামালের ব্যবসায়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ব্যবসায়ী আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ী সোহরাব খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ৪ জন। অন্য আহতরা হলেন- জনি খান, কাশেম খান ও রুবেল খান। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী সোহরাবের পুত্র জনি খান বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর থেকে ব্যবসায়ী সোহরাব, বাদী জনি ও তার স্বজনদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মামলার প্রধান আসামী মিজান খান। এ অবস্থায় আহত ব্যবসায়ীর পুরো পরিবার আতঙ্কে দিন পার করছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিঘীরপাড় বাজারে কাঁচামালের ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঁচামালের ব্যবসায়ী মিজান খান ও তার সহযোগী আঃ মান্নান খান, জোবায়ের খান, রুবায়েদ খান, সজিব খান, সোহেল ছৈয়াল, আবিদুর বেপারীসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন অপর কাচাঁমালের ব্যবসায়ী সোহরাব খানের আড়তে গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথারী কোপে গুরুতর আহত হয় ব্যবসায়ী সোহরাব। সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডে বাঁধা দিতে আসলে ব্যবসায়ীর পুত্র জনি তার চাচা কাসেম খান ও চাচাত ভাই রুবেল খানকে বেদম প্রহার করে এসময় কাঁচামালের আড়তে থাকা ডিজিটাল পাল্লা ভাংচুর করে এবং ক্যাশে থাকা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গুরুতর আহত সোহরাবকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সোহরাব জানান, মিজান খান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। সে একজন বালু ব্যবসায়ী। নদী থেকে লাইন করে বালু ব্যবসা করে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ দিঘীরপাড়ের সাধারণ মানুষ। মিজান দিঘীরপাড় বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে অন্য ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মো. রাজিব খান জানান, ব্যবসায়ী সোহরাবের পুত্র জনি খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় ইতিমধ্যে ৪ জন আদালত থেকে জামিন নিয়েছে আর ২ জন পলাতক রয়েছে। পলাতকদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বাদীকে যদি কেউ হুমকি দেয় তাহলে থানায় জিডি করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিঘীরপাড়ে কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা
আগের পোস্ট