নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরের বৃহত্তর ফলের আড়তগুলো প্রায় ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। অন্যসময় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা ক্রয়-বিক্রয় হলেও এখন বেচাকেনা প্রায় বন্ধ। এতে বিপাকে পড়েছে এসব আড়তের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। রমজান মাসে বেচাকেনা বেশি হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো ব্যবসায়ে ভাটা পড়ায় ব্যবসায়ীরা চোখে মুখে দেখছে অন্ধকার। এদিকে বিক্রি না হওয়ায় প্রতিদিনই পঁচে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকার ফল।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার দেখা যায়, মুক্তাপুরের আল্লাহ রাখা এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ফল ভান্ডার, দয়াল ভান্ডার বানিজ্যালয়, মায়ের দোয়া ফল ভান্ডারসহ প্রায় ২ ডজন ফলের আড়ৎ রয়েছে। এসব আড়তে আপেল, কমলা, মালটা, আনার, খেজুরসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল ক্রয় বিক্রয় হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফল আসে মুক্তারপুরের এ আড়তগুলোতে। এখান থেকে ক্রয় করে জেলার সদর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর বিভিন্ন বাজারে খুচরা বিক্রি করে দোকানদাররা। তবে করোনার কারণে পাইকার ও খুচরা কোন ক্রেতাই এখন আড়তে আসছেনা।
আল্লাহ রাখা এন্টারপ্রাইজের মোঃ আবু তালেব জানান, করোনার প্রভাবে কোন ক্রেতাই আসছে না। লাভ তো দূরের কথা লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। পঁেচ গিয়ে নষ্ট হচ্ছে আমাদের ফল।
আরেক ফল বিক্রেতা মোঃ জালাল জানান, প্রতিবছর রমজানে বিক্রি বাড়ে। করোনার কারনে মানুষ আড়তে আসছে না। বেচাকেনা নেই বললেই চলে। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া কোন পথ দেখছিনা।
তবে পরিস্থিতি ভালো হলে লোকসান পুষিয়ে উঠার আশায় তারা ব্যবসা চালিয়ে রেখেছে বলে জানান।