নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের চা দোকানদার মিলনের পাশে গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মিলনের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্রধান, ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ রিটু প্রধান, ইউপি সদস্য মোঃ মুক্তার হোসেন, ইউপি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল হুদা খাঁন মাখন, ইস্রাফিল মেম্বার, ফরিদ প্রধান, শাহ আলম প্রধান, দিল ইসলাম শিকদার প্রমুখ।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মিলন প্রধান বর্তমানে একজন সাধারণ চা দোকানদার। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে রাজনীতি আর সমাজনীতি বাদ দিয়ে সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে ১০ বছর যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বালুয়াকান্দিস্থ জিস্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ছোট্ট একটা টং দোকানে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। আকস্মিক গত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে মিলন ভাইয়ের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এই চায়ের দোকানটি দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একজন প্রতিবন্ধী ছেলেসহ ৫ জন মানুষের সংসার নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন এই সংগ্রামী মানুষটি। ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিতে পারবে না বলে চা দোকানদারী করে নিরবে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছিলেন। সেই মানুষটি কার এমন অনিষ্ট করলো যে কারণে তার দোকানটি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে হবে? এই বয়সে কতটা অসহায় হলে চোখে অশ্রু আসে? বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন তথা গজারিয়া উপজেলায় একাধিক মানবিক সংগঠন ও মানবিক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার স্থানে রয়েছেন। আমি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনাদের আরেকটা মানবিক সহায়তায় বেঁচে যাক একটি পরিবার। নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী মাঠে আছেন। তাদের কাছেও এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ রইলো।
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মিলনের পাশে আমিরুল ইসলাম
আগের পোস্ট