নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় দুই লক্ষ আশি হাজার ভোটারের পদ্মা পাড়ের দুই উপজেলা লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ-২ সংসদীয় আসন। এর মধ্যে লৌহজংয়ের চেয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় চল্লিশ হাজার ভোটার বেশি।
গত তিন মেয়াদে নৌকা মার্কায় বিজয়ী হয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে নেমেছেন এক ঝাঁক নতুন সম্ভাব্য প্রার্থী।
এই নতুন প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় আলোচনায় আছেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান, শেরেবাংলা হল ছাত্র সংসদের (বুয়েট) সাবেক ভিপি, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ। ঐতিহ্যগতভাবেই তিনি গণমানুষের কাছের লোক।
সাধারণ মানুষ মনে করেন, ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ যোগ্য, মেধাবী, অভিজ্ঞ ও অভিভাবকসুলভ নেতা। তাকে সারা বছর পাওয়া যায়। তার সাথে সবসময় কথা বলা যায়। তার কাছে গিয়ে কেউ খালি মুখে বা খালি হাতে ফিরে আসেন না। তার কাছে কাউকে ধরে যেতে হয় না। তার দরজা সকলের জন্য সকল সময়ে খোলা।
পঁচিশ বছর ধরে শীতার্ত অসহায় মানুষদের বাড়িতে দাওয়াত করে এনে নিজ হাতে বিয়ে বাড়ির মতো আপ্যায়ন করে হাজার হাজার লেপ বিতরণ করে আসছেন তিনি। নিজ খরচে কয়েক হাজার রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করিয়ে দিয়েছেন। করোনার সময় একটানা দুই বছর গ্রামে থেকে মানুষকে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিয়েছেন। এখনো সার্বক্ষণিকভাবে টঙ্গীবাড়ী থাকেন। এই বিষয়গুলো কাজী ওয়াহিদকে জনগণের আস্থার জায়গায় এনে দিয়েছে।
যেকোন পাবলিক পরীক্ষায় তিনি অভিভাবকদের জন্য বসা ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে ফুল, মিষ্টি ও পিঠা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কক্সবাজার বেড়াতে নিয়ে যান। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ বছর ধরে বৃত্তি দিয়ে আসছেন। নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ছাত্র, শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তার রয়েছে ভিন্নমাত্রার গ্রহণযোগ্যতা।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে গণসংযোগ, স্কুলে স্কুলে মা সমাবেশ, গ্রামে গ্রামে মুরুব্বিদের নিয়ে মিটিং, ছোট ছোট বাজারের চায়ের দোকানে হোগলায় বসে সাধারণ মানুষের সাথে চা আড্ডা আর প্রতিটি মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করে তিনি ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ের যোগাযোগ রাখেন। সবসময় সত্য বলা, বিনয়ী ব্যবহার আর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলায় তিনি আছেন সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের জায়গায়।
গত পনের বছরের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকা, সকল উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ব্যক্তিগত পর্যায়ের আদর আপ্যায়নের কারণে দলীয় ভোটের বাইরে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় তার আছে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ভোট ব্যাংক। লৌহজংয়ে ঐতিহ্যগতভাবেই নৌকা এগিয়ে। আর এখানে কাজী ওয়াহিদের রয়েছে সৃজনশীল, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের ইমেজ। দলীয় ভোটের সাথে ব্যক্তিগত ভোট ব্যাংক মিলে কাজী ওয়াহিদের নৌকার তরী তীরে ভিড়ার রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা।