নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে ৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর ধলেশ্বরী নদীতে মিললো রিয়াম (১৭) ও আলমগীর হোসেন (১৮) নামে দুই যুবকের মরদেহ। গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার মিরকাদিম লঞ্চঘাটে রিয়াম ও পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদীর পাড় থেকে আলমগীর হোসেন নামের ওই দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ। গত সোমবার দুই যুবকের নিখোঁজের ঘটনায় স্বজনরা একদিন পরে গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি নিহতের স্বজনদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত সোমবার ৫ যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মিরকাদিম লঞ্চঘাট এলাকায় ঘুরতে আসে। তাদের কথা বলা ছিলো এলোমেলো। নদীর পাড় এলাকায় আনন্দ উল্লাস করার সময় ৫ জনের মধ্যে ৪ জন ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে যায়। পরে বাল্কহেড শ্রমিকরা দুই যুবককে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকেন রিয়াম ও আলমগীর। পরে সেদিন নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করলে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সকালে নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৩ দিন আগে তাদের বন্ধুরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মিরকাদিম লঞ্চঘাটে উল্লাস করার সময় ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় রিয়াম (১৭) ও আলমগীর হোসেন (১৮)। পরে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তারা। নিখোঁজের ৩ দিন পরে তাদের দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের বাবা আবুল কালাম এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন। নিহত রিয়াম মিরকাদিম পৌরসভার মস্তান বাজার এলাকার সেকান্দর মিয়ার ভাড়াটিয়া আবুল কালামের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায় বলে জানা গেছে। এছাড়াও নিহত আলমীগর পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইভাগ এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান জানান, গত ৩ দিন আগে মিরকাদিমের লঞ্চঘাট এলাকায় নিখোঁজ হয় দুই যুবক। গতকাল বুধবার স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সকালে মিরকাদিম লঞ্চঘাট ও নয়াগাঁওয়ের ধলেশ্বরী নদী থেকে ওই দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে দুই যুবকের মৃত্যু পানিতে ডুবে নাকি অন্য কারণে হয়েছে সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরে জানা যাবে।