নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন এবার পূরণের পথে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গতকাল বৃহস্পতিবার পরিক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসে ৮টি বগি সম্বলিত বিশেষ একটি ট্রেন। আর এটি মাওয়া স্টেশন হয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ফরিদপুরে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছেছে। আর এর মাধ্যমে শুরু হলো ট্রেন চলাচল। এর ফলে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হলো। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে পদ্মা সেতুতে ওঠে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি। এতে করে নতুন দিগন্তে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি আগামী ১০ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গভাবে রেল চলাচল উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করবে। স্বাধীনতার পর মুন্সীগঞ্জের উপর দিয়ে এই প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে মুন্সীগঞ্জের মানুষের মাঝে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। আর এর মধ্য দিয়ে পদ্মা পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতবিার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পরীক্ষামূলক একটি ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১০ অক্টোবর র্পযন্ত। পরীক্ষামূলক ট্রেনে যাত্রী হিসেবে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজনসহ রেল সংযোগ পথে সংশ্লিষ্টরা। আরও রয়েছেন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমটিরি সদস্যরা এবং রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কমলাপুরের রেল স্টেশন থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ পুরোপুরি শেষ। শুরুতে মাওয়া প্রান্তে মাওয়া স্টেশন, পদ্মা সেতু পার হওয়ার পর পদ্মা স্টেশন এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশন পর্যন্ত রেল চলাচল করবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যয় হবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার অংশে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করায় মুন্সীগঞ্জসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।