নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট বিরূপ পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে সমাগত হয়েছে মুসলিম বিশে^র প্রধানতম উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও কোরবানি দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ভার্চ্যুয়াল সভায় সংযুক্ত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইস উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নুরে আলম সিদ্দিক, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূঁইয়া, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আহম্মেদ জিন্নাহ, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ মোঃ লিটনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আমাদের জনজীবন। ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের অনেক আপনজনকে হারিয়েছি। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। একদিকে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অন্যদিকে মানুষের জীবন-জীবিকা এবং দৈনন্দিন কর্মকান্ড সবই সমস্যাসঙ্কুল পরিস্থিতির মুখোমুখি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো শতভাগ সামাজিক সচেতনতাÑ সকলে সমন্বিতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করা।
তিনি বলেন, করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই আমাদের সামনে সমাগত মুসলিম বিশে^র প্রধানতম উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মানুষ কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করবে এবং ঈদের সময় পশু কোরবানি ও মাংস বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। কাজেই এই সময় সচেতন না হলে করোনার বিস্তৃতি বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য সকলেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও কোরবানি দেওয়া নিশ্চিত করে সেজন্য মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। একইসাথে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সমাজের অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রাজনৈতিক ত্রাণ কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গজারিয়া উপজেলার প্রধান আঞ্চলিক সড়কসহ এই উপজেলার বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এসব সড়কে গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের বসতবাড়ির ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী যেমন ফেলে রাখে, ধান-পাটসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সড়কে ফেলে রাখে, এমনকি সড়কের সাথে গবাদি পশু বেঁধে রাখে। যার ফলে সড়কের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এজন্য সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। এই বর্ষার সময় সড়কের অনেক জায়গায় পানি জমে- যেখানে সামান্য একটু কোদাল দিয়ে মাটি কেটে দিলে পানি নিচে চলে যায়- এই কাজটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। যাতে সড়কগুলো বিনষ্ট না হয়ে যায়। সেইসাথে এসব সড়কে বিভিন্ন শিল্প-কল-কারখানার পণ্য বহনকারী বড় গাড়ি চলাচল করে। সড়কের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি পরিমাণ মালামাল যাতে কেউ বহন না করে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গজারিয়া উপজেলায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শিল্প-কল-কারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য শ্রমিক কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না তা তদারকি করা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে সেখানকার শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে তাগিদ দিতে হবে।
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও কোরবানি দেওয়া নিশ্চিত করুন – অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট