বিনোদন প্রতিবেদক
রবিবারও হলো না চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন। আজ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে নায়িকার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। পরে আদালত জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান। অর্থাৎ আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারেই কাটাতে হবে নায়িকাকে। এর আগে শনিবার তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আবারও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় সিএমএম আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে একটি মাইক্রোবাসে করে পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা নায়িকাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামি পরীমনি মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাকে জামিন দিলে তিনি তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেন। এর আগে বনানী থানায় হওয়া মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরীমনিকে গত বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় আরও পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এদিন শুনানি শেষে নায়িকার একদিন রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। তার আগে গত ১৩ আগস্ট আদালত পরীমনির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৪ আগস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এসময় সেখান থেকে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ উদ্ধারের কথা বলা হয়। ওই ঘটনায় র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান ৪ আগস্টের দিনেই বনানী থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় তিন দফার রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট থেকে আদালতের নির্দেশে পরীমনি কারাগারে রয়েছেন। তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে।