নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান আদর্শকে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন।
গতকাল মঙ্গলবার শোকের মাস আগস্টের মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে মুন্সীগঞ্জ শহরে পিছিয়ে পড়া মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ এবং এরপর মুন্সীগঞ্জ শহরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে বিশাল এক শোক র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসীম সাহসী, বিশাল হৃদয়ের অধিকারী এবং উদার দৃষ্টিভঙ্গীর সহজ-সরল মানুষ। নীতি ও আদর্শে তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের কেন্দ্র ছিল জনগণ। জনগণের জন্য ভালোবাসা ছিল তার সকল কর্মকান্ডের প্রেরণা, জনগণের ওপর বিশ্বাস ছিল তার কর্মকান্ডের ভিত্তি এবং জনগণের কল্যাণই ছিল তার সব কর্মকান্ডের লক্ষ্য। নির্যাতিত-নিপীড়িত, লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-শোষিত মানুষের মুক্তিই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের একমাত্র ব্রত।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছি। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রশ্নে তিনি কখনো আপোস করেননি। জীবনের দীর্ঘ ১৪ বছর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জেলখানায় বন্দি থেকেছেন। দুইবার ফাঁসির মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার প্রশ্নে অটল থেকেছেন। আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশ পরিচালনা করেছিলেন। এই সামান্য সময়ের মধ্যেই তিনি একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মজবুত ভিত রচনা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকের নির্মম বুলেটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড শুধু বাঙালির ইতিহাসের বর্বরতম নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ড নয়, মানব ইতিহাসেরও বটে। স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তার্জিত মুক্তিযুদ্ধের অর্জন, বিজয়, আদর্শ সবকিছুকেই গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছে ঘাতকেরা। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি স্বৈরশাসকরা স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার বিকৃত ইতিহাস ও মূল্যবোধের বিস্তার ঘটানোর পাঁয়তারা চালায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আবারও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম বাস্তবায়িত হচ্ছে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেৃতত্বে একসময়ের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির এই অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে একটি চিহ্নিত মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুমহান আদর্শকে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন।