নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। সরকার শ্রমজীবী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দরিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
গত ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ শহরে শ্রমিক লীগ শিল্পাঞ্চল আঞ্চলিক শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগ সভাপতি মহাসীন মাখন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম পলাশ, ওবাইদুল হক ওলি, সালমান খান, রশীদ সরদার প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, মে মাসের ১ তারিখ মহান মে দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস। পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল দিন। শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য ও সংহতি দিবস মে দিবস। ১৮৮৬ সালের মে মাসের প্রথম দিনগুলোতে আমেরিকার শিকাগো শহরের শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের আন্দোলন এবং আন্দোলনে নিহত শ্রমিক ভাইদের সাথে কোনো ইজম বা মতাদর্শ জড়িত ছিল না। মানুষের মতো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার আদায়ের জন্যই ইতিহাসে রক্তাপ্লুত মে দিবসের আবির্ভাব হয়েছিল।
তিনি বলেন, বাঙালির জাতির মুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি অনন্য সাধারণ রক্তঝরা গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আদমজী, টঙ্গী, খালিশপুর, তেজগাঁওসহ শিল্প এলাকা হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশের সকল স্থানে শ্রমিকসমাজ বাঙালির সকল মহতী সংগ্রামে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, মেহনতী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। স্বাধীনতা লাভের পর জাতির পিতা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক, অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মপরিকল্পনার ফলে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল। অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এর মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সরকার শ্রমজীবী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দরিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট