নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবাশ বাংলাদেশ। স্যালুট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ^সভায় অনন্য মর্যাদায় অভিসিক্ত। দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা বাংলাদেশের দীর্ঘকালের লালিত স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ আজ পুরোপুরি দৃশ্যমান। ৪১ তম স্প্যান স্থাপন প্রতিস্থাপনের সাথে সাথে পদ্মা সেতুর পূর্ণ অবয়ব দৃশ্যমান হওয়ার মধ্য দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হলো প্রমত্তা পদ্মার অপরপ্রান্তের শরীয়তপুরের জাজিরা। সবকটি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের বৃহৎ পদ্মা সেতুর শতভাগ দৃশ্যমান হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন, অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা। অসংখ্য ধন্যবাদ মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কর্মবীর ওবায়দুল কাদের। সেই সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক ভাইদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার অনন্য প্রতীক। আমাদের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুঃখ মোচনের সোপান। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জগৎসভায় বাংলাদেশকে উচ্চ-মর্যাদায় আসীন করেছে। আর এই স্বপ্নের স্বার্থক রূপকার আমাদের সকল স্বপ্ন-জয়ের সারথি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও সাহসী নেতৃত্বে বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ আজ পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার মূর্ত স্মারক। পদ্মা সেতু দুষ্টু-মানব সৃষ্ট অন্ধকারের অচলায়ন ভেদ করে আলোর পথে যাত্রা করতে শিখিয়েছে। কারণ পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করতে বিশ্বখ্যাত একজন অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ বিরোধী একটি অপশক্তি গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল। এমনকি এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে বেগম খালেদা জিয়া ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন- জোড়া তালির পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। তাদের মিলিত ষড়যন্ত্রে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে গভীর শঙ্কায় নিমজ্জিত করেছিল। সে ষড়যন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে জগৎসভায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে রাজধানীকে যুক্ত করবে। অবহেলিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক খাতে উৎকর্ষতা সাধিত হবে। বিশ^ব্যাংকের সমীক্ষা অনুযায়ী পদ্মা সেতুর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন তথা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে সরাসরি উপকৃত হবে তিন কোটি মানুষ। কাজের সুযোগ হবে ২ কোটি মানুষের। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি বলেছে- পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনীতির আকার বা জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি বছর দারিদ্র্য কমবে ১.৯ শতাংশ হারে। এই সেতু শুধু দুই পাড়কে সংযুক্তই করবে না বদলে দেবে পদ্মাপাড়ের দৃশ্যপট। দুই পাড়ের ব্যাপক শিল্পায়ন হবে এবং গড়ে উঠবে পরিকল্পিত সিটি। গড়ে উঠবে আধুনিক মানের আবাসিক এলাকা, হোটেল, রিসোর্ট। পর্যটনে যুক্ত হবে অভাবনীয় সম্ভাবনা।
আজকের এই শুভক্ষণে বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, নব পর্যায়ের বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের নির্মাতা, হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার, বিশ্বজয়ের স্বপ্ন-সারথি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়া দেশ-জাতি জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবে বিশ্বনন্দিত নেতা, বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী, মানবতার জননী, আত্মশক্তি-সমৃদ্ধ সত্য-সাধক, প্রগতি-উন্নয়ন শান্তি ও সমৃদ্ধির সুনির্মল-মোহনা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুন্সীগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা, অভিবাদন ও অভিনন্দন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে। পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহু তায়ালা রাব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ মঙ্গলময় জীবন দান করুন।