আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে রবিবার রাতে কয়েক দফা রকেট হামলা হয়েছে। এতে একজন সামান্য আহত হয়েছেন। এছাড়া রকেট হামলার সময় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার অফিসে ছিলেন না। কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র রবিবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন যে, তারা আন্তর্জাতিক অঞ্চলে রকেট অবতরণের খবর সম্পর্কে অবগত। তবে এসব হামলায় মার্কিন দূতাবাসকে লক্ষ্য করা হয়নি। দূতাবাসের কোনও কর্মচারী আহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এসময় ইরাক সরকারের প্রতি কূটনৈতিক সুবিধা রক্ষার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইরাকের রাজধানীতে রকেট হামলার জন্য তেহরানকে সরাসরি দোষ দেয়নি। তবে মুখপাত্রের বক্তব্যে এই অঞ্চলে ইরানি হুমকি এবং মার্কিন স্বার্থে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের অতীতের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মুখপাত্র বলেন, ‘ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়ে গেছে এবং ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুমকিস্বরূপ রয়েছে। সুতরাং, আমরা এ বিষয়ে সজাগ রয়েছি।’ এ বিষয়ে মার্কিন যৌথ অপারেশন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাঁচটি রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো মার্কিন দূতাবাসের কাছে নদীতে বিস্ফোরিত হয়েছে তবে কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু সংবাদ সংস্থা এএফপি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পাঁচটির মধ্যে তিনটি রকেট সরাসরি মার্কিন দূতাবাসে আঘাত করেছে। কে বা কারা এসব হামলা চালিয়েছে বা এতে সম্ভাব্য হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। বাগদাদের গ্রিন জোনের পাশাপাশি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আত-তাজি ও আল-বালাদে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার রকেট হামলা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে বাগদাদে হত্যা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘটনার পর থেকে ইরান এবং ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের সঙ্গে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে ইরাক ছাড়ার জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে কয়েক লাখ ইরাকি জনগণ।
বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে ফের রকেট হামলা
আগের পোস্ট